টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে মেঘমাল্লার
গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের জাতীয় চলচ্চিত্র অনুদান ও বেঙ্গল এন্টারটেইনমেন্ট প্রযোজিত, বেঙ্গলের প্রথম চলচ্চিত্র, জাহিদুর রহিম অঞ্জন পরিচালিত মেঘমল্লার আসন্ন ‘৪০তম টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব, ২০১৫’তে প্রদর্শনের জন্য আমন্ত্রিত হয়েছে। আগামী ১০ থেকে ২০ সেপ্টেম্বর, ২০১৫ অনুষ্ঠিতব্য পৃথিবীর অন্যতম বৃহৎ এই চলচ্চিত্র উৎসবে ছবিটি প্রদর্শিত হবে। উৎসবে যোগ দিতে আমন্ত্রন জানানো হয়েছে চলচ্চিত্রটির প্রযোজক ও পরিচালককে। ‘ডিসকভারি’-দি ফিউচার অব ওয়ার্ল্ড সিনেমা-বিভাগে আগামী ১৫, ১৭ ও ২০ সেপ্টেম্বর ৩টি পাবলিক প্রদর্শনীর পাশাপাশি ১২ ও ১৬ সেপ্টেম্বর ‘মেঘমল্লার’ ছবিটির প্রেস ও ইন্ডাস্ট্রি প্রদর্শণী অনুষ্ঠিত হবে। দীর্ঘ বিরতির পর টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলাদেশের কোন চলচ্চিত্র নির্বাচিত হলো।
বরেণ্য কথাসাহিত্যিক আখতারুজ্জামান ইলিয়াস-এর গল্প ‘রেইনকোট’ অবলম্বনে চলচ্চিত্র ‘মেঘমাল্লার’ নির্মাণ করেন জাহিদুর রহিম অঞ্জন। প্রথমে সিনেমার নাম রেইনকোট রাখা হবে বলে ঠিক করা হলেও পরে সদ্ধান্ত পরিবর্তন করা হয়। কারণ ‘রেইনকোট’ শিরোনামে প্রয়ার ভারতীয় চলচ্চিত্র নির্মাতা ঋতুপর্ণ ঘোষ-এর একটি চলচ্চিত্র রয়েছে। সিনেমাটির বিভিন্ন ভূমিকায় অভিনয় করেছেন শহীদুজ্জামান সেলিম, অপর্ণা ঘোষ, জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, মারজান হোসাইন জারা, আসিফ মাহমুদ অদিতি, মোস্তাফিজ শাহীন, আদনান সোবহান ইভান’সহ আরও অনেকে।
এক মধ্যবিত্ত কলেজ শিক্ষকের জীবনে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালিন নেমে আসে গভীর সংকট। সারা জীবন যে লোক শুধু পরিস্থিতির সাথে মানিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চালিয়েছে, মুখ বুজে সহ্য করেছে সব অন্যায় সে হঠাৎ সাহসী হয়ে উঠে। পাকিস্তানী বাহিনী তাকে ধরে নিয়ে অত্যাচার শুরু করলে নিরীহ নুরুল হুদার মধ্যে যেন ভর করে এক সাহসী মুক্তিযোদ্ধা। একসময় সে পাকসেনাদের জানায় যে সে সব জানে কিন্তু কিছুই বলবে না। ‘জয় বাংলা’। এ কথা শুনে পাকিস্তানী মেজর ক্ষিপ্ত হয়ে তার মাথায় গুলি চালিয়ে দেয়। এভাবেই শেষ হয় নুরুল হুদার জীবন। এমনই এক গল্প নিয়ে নির্মিত হয়েছে ‘মেঘমাল্লার’।
সাতদিন/এমজেড